শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
সুমণ তালুকদের,স্টাফ রিপোর্টার॥ বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বন্দর টরকি বন্দর। গড়ে প্রতিদিন ৫০ টিরও বেশী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই বন্দরে মালামাল নিয়ে আসে।
যা আনলোড করা হয় টরকি বন্দর ট্রাক স্টান্ড হতে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করার কারণে বর্তমানে ট্রাক স্ট্যান্ড ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যে কারণে অন্যান্য জেলার মানুষের কাছে গৌরনদীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ট্রাক ড্রাইভার গন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকেন।
বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির কারণে ট্রাক স্টান্ড সব সময় পানিতে তলিয়ে থাকে এবং হয়ে থাকে কর্দমাক্ত যে কারণে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এখানকার ভ্যান শ্রমিক মাঝেমধ্যেই বন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে টুকটাক সংস্কার করলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
এই ট্রাক স্ট্যান্ড কোন এক সময় পৌরসভা থেকে ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রী আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর মহানুভবতার কারনে ট্রাক স্ট্যান্ড এর ইজারা মওকুফ করে উন্মুক্ত করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত ড্রাইভার দের কাছে তথা বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে গৌরনদীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক স্ট্যান্ড সংস্কার না করার কারণে সেই উজ্জলতা আজকে হারাতে বসেছে। এছাড়াও ট্রাক স্ট্যান্ড এ ঢোকার মুখে কিছু অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে ঢোকার অর্ধেক মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্ধেক ও বেশিরভাগ সময়ই ইজি বাইকের দখলে থাকায় ট্রাক ঢুকতে এবং বের হতে দেখা দেয় বিড়ম্বনা।
উল্লেখ্য যে বন্দরে ঢোকার রাস্তা যা টরকি বন্দর সদর রোড নামে পরিচিত। সেটিও কোন এক সময় ভাঙ্গাচুরা জরাজীর্ণ ছিল।
কিন্তু এখানকার সফল পৌর মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ এর সুদক্ষ কর্মপরিকল্পনায় বিগত সাত-আট বছর আগে উন্নত মানের পাথরের সংমিশ্রণে রাস্তাটি পুনর্নির্মাণে করা হয় যা এখনো সম্পূর্ণরূপে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
এখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি বন্দরে ট্রাক স্টান্ড টি যদি সেরকম উন্নত পাথরের সংমিশ্রণে পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হতো তাহলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত বন্দরবাসী।
এ বিষয়ে বন্দরের ব্যবসায়ী বৃন্দ স্থানীয় এমপি এবং পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply